| |
               

মূল পাতা জাতীয় আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     22 August, 2023     10:41 AM    


আফগানিস্তানের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশে যদি জিহাদি (ক্রিয়াকলাপ) থাকে, তাহলে পুরো অঞ্চলের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয় অঞ্চলে উন্নয়নের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে বাংলাদেশে ‘জিহাদি তৎপরতা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি’ যেভাবে প্রসারিত হয়েছিল সেটি ফিরে আসলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার মূলনীতি হচ্ছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা। ভারতও সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রধান কারণ।

সোমবার (২১ আগস্ট) ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন। এমিরেটসের একটি নিয়মিত ফ্লাইট (ইকে ৫৮৩) ২২ আগস্ট সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। ফ্লাইটটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর  দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের  ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় ৮টা ৫০ মিনিটে পৌঁছাবে। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের একজন মিনিস্টার-ইন-ওয়েটিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার অভ্যর্থনা জানাবেন। এরপর শেখ হাসিনাকে রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটন জোহানেসবার্গে নিয়ে যাওয়া হবে।

ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি সৌজন্য সাক্ষাত চেয়েছিল কারণ নয়াদিল্লিতে সেপ্টেম্বরে জি-২০ -এর সাইডলাইনে উভয় প্রধানমন্ত্রীর বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জোহানেসবার্গে সময় খুবই সীমিত। এবং সরকারগুলো শেষ মুহূর্তে সবকিছু নিশ্চিত করে। চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো বৈঠক হলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়, পূর্বের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা আরও বিনিয়োগ এবং আরও বাণিজ্য চাই। সাধারণত আমরা এই বিষয়গুলো উত্থাপন করি।